ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শীতলক্ষ্যায় ভাঙা পড়লো ১০টি বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ

প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় রোববার বিকেলে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃক পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়েছে অন্তত ১০টি বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ। যার মধ্যে নগর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহনেওয়াজের মালিকানাধীনসহ বেশ কয়েকটি ছয়তলা ভবনের বর্ধিতাংশ রয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিআইডব্লিউটিএয়ের এক্সাভেটর-৩ দ্বারা এসকল বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম রেজাসহ অন্যরা। এছাড়া সদর মডেল থানা ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

"
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ-েএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু হয়ে নিতাইগঞ্জ খালঘাট পর্যন্ত প্রায় পৌনে তিন কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষে সৌন্দর্য বর্ধনের নেয়া হয় নানামুখী পদক্ষেপ। নদীর পাড় দিয়ে চলাচলের সময় বিভিন্ন স্থানে বিশ্রামের জন্য বসার স্থানও করা হয়েছে। গোসলের জন্য নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে আটটি ঘাট।

২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকেই ওয়াকওয়েটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। যেখানে এখন বিকেল হলেই একটু নির্মল বাতাস উপভোগ করতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। তবে শহরের টানবাজার এলাকায় ওয়াকওয়ের পাশেই নদীর সীমানায় অন্তত ১০টি বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ ছিল।

"
রোববার উচ্ছেদ অভিযানে শাহনেওয়াজ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. প্রিন্স, ইসমাইল ওরফে দস্তগীর, নিরঞ্জন সাহা, মো. ববি, অমর সাহা, জীবন সাহাসহ অন্তত ১০টি বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ এক্সাভেটরের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন/বিএ