ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের পর হত্যার হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৭:৩৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২১

সাতক্ষীরায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য, তার স্ত্রীসহ পরিবারের আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনা মামলা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এই সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওই পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই পরিবার।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন জেলার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটী গ্রামের বাসিন্দা আহত সেনা সদস্যের ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল। এ সময় তার বোন মোশরেকা খাতুন ও নাসিম মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম মোস্তফা টুটুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার হায়দার আলী ও পরিবারের সদস্যরা পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত বহেরা মৌজার ২ একর ৬৬ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বকুল ২৫-৩০ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় হায়দার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। তারপরও মোস্তাফিজুর রহমান বকুল ওই জমি দখলের জন্য তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন।

‘গত ৮ জানুয়ারি হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার, তিনি নিজে (গোলাম মোস্তফা), তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন ও শিশু শাফিন মোস্তাকিমসহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, পুষ্পকাটীর জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুলসহ ৭-৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দারসহ পাঁচজন গুরুতর জখম হন। তাদের প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

jagonews24

এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় ১০ জানুয়ারি একটি মামলা করা হয় (মামলা নং-০৩) জানিয়ে গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মামলার খবর পেয়ে স্থানীয় রব্বানী মেম্বার ও বকুলসহ তাদের সহযোগীরা ওই সেনা সদস্যের পরিবারকে নতুন করে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেছেন। গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব ঘটনা জানালেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন তারা সপরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আসামি ধরছি না অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আসামিদের গ্রেফতারে গত রাতেও অভিযান চালানো হয়েছে। মূলত মামলাটির বাদীপক্ষই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। বাদীপক্ষ অপর ব্যক্তির দখলে থাকা জমি জোরপূর্বক আকস্মিক গত শুক্রবার দখল করতে যায়। তখনই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, বাদীপক্ষ গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি ১০-১১ জন। এর মধ্যে ছয় জনের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর থানার মধ্যে। বাকিদের বাড়ি পুষ্পকাটী এলাকায়। সদর থানায়ও আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। তাহলে ধরছি না এই অভিযোগ তারা কীভাবে করেন, আমার বোধগম্য হচ্ছে না।

আকরামুল ইসলাম/এআরএ/এইচএ/এমএস