সহকারী জজের প্রত্যাহার দাবিতে নাটোরে আদালত বর্জন
নাটোরের জেষ্ঠ্য সহকারী জজ হুমায়ুন কবীরের আদালত রোববার সকাল থেকে বর্জন করেছেন নাটোর জেলা আইনজীবি সমিতি। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে লাগাতার ৭ দিন তারা এই আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করবেন।
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া, বড়াইগ্রাম ও বাগাতিপাড়া উপজেলার দায়িত্বরত জেষ্ঠ সহকারী জজ হুমায়ুন কবীরের প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন, সহকারী জজ হুমায়ুন কবীর মন গড়াভাবে আদালত পরিচালনা করেন। প্রকাশ্য আদালতে আইনজীবীদের লাঞ্চিত করেন। তার আশালীন আচরণে আইনজীবীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ নভেম্বর নাটোরের দুটি উপজেলায় উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই ওই দুই উপজেলার বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীগণ আদালতে হাজির হতে পারেননি। অথচ তিনি অন্তত ২০ জন বিচারপ্রার্থীর মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। এটা নজিরবিহীন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম পারভেজ বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আইনজীবীরা প্রতিনিয়ত উনার দ্বারা অপমানিত হচ্ছেন। তিনি প্রচলিত আইন অনুসারে আদালতের কার্যক্রম না চালিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমত আদালত চালান। তাই সম্মিলিতভাবে আমরা তার আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন তালুকদার জানান, জেষ্ঠ আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ পরামর্শে আইনজীবীরা আগামী সাতদিন অভিযুক্ত সহকারী জজের আদালতে যাবেন না। সাত দিনের মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় অনিদিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়া হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জেলার অন্যান্য আদালতগুলোর নানা অনিয়মের ব্যাপারে তারা খুব শিগগিরই জেলা জজের সঙ্গে বসবেন এবং তা সমাধানের জন্য অনুরোধ করবেন। তানা হলে সব আদালতের ব্যাপারে একই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নাটোর জজ কোর্টের জিপি আসাদুল ইসলাম জানান, শিগগিরই জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এসএস/আরআইপি