ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নারী সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে এখন বলছেন ‘ভুল বোঝাবুঝি’

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১

অফিস চলাকালীন নারী অফিস সহকারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ সাতক্ষীরা গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী অফিস সহকারী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিবেদন পেলে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। অন্যদিকে, ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন অফিস স্টাফরা।

ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা গণপূর্ত অফিসে গেলে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, অভিযোগের তদন্তকারী টিমপ্রধান স্টাফ অফিসার ফিরোজ আলীসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি।

ওই নারী গণপূর্ত উপবিভাগ-১ এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। গত ৩ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, অফিসের উচ্চমান অফিস সহকারী আবুল হাসান বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর অফিসে একা পেয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন ও জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় প্রতিকার ও নিরাপত্তার দাবি জানান ওই নারী অফিস সহকারী।

এ ঘটনায় ৪ জানুয়ারি স্টাফ অফিসার ফিরোজ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি।

তদন্তকারী টিমের প্রধান সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের স্টাফ অফিসার ফিরোজ আলী ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো তদন্ত করছি না। কোনো কাগজ পাইনি। টিমপ্রধান কে বানিয়েছে সেটিও জানি না।’

jagonews24

মোবাইল ফোনে সাতক্ষীরা গণপূর্তের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে ঘটনাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ-২) গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। একটি আপসনামাও করা হয়েছে।’

গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী সজল গাইন জানান, ঘটনাটি নিয়ে স্টাফদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য মিটিংয়ে আমাকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে আবুল হাসান সবার সামনে ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, একটা অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। আমি দশজনের সামনে ক্ষমা চাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান অফিস সহকারী আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা স্টাফরা সবাই মিলে বিষয়টা মীমাংসা করে ফেলেছি। ও তেমন কিছু না। উভয়ের মাঝখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটা নিয়ে সামনে না এগোলে ভালো হয়।’

আকরামুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস