ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নিজের জমিতে এতিম শিশুদের জন্য মাদরাসা করে দিলেন কৃষক

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২১

নাম আদম আলী। পেশায় একজন কৃষক। নিজে বিত্তশালী নন, তারপরও যেটা করলেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। ধনী না হয়েও যে সমাজের জন্য কিছু করা যায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। নিজস্ব সম্পতি থেকে ২০ শতক জমিতে এতিম শিশুদের জন্য মাদরাসা করলেন আদম আলী। নাম দেয়া হয়েছে-‘খতমে নবুওয়্যাত ইসলামিয়া মাদরাসা’।

আদম আলী ঠাকুরগাঁও শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আদম নগর এলাকার মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। তার এ মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬ সালে এলাকাবাসীর নামাজের সুবিধার্থে একটি মসজিদ করার চিন্তা মাথায় আনেন কৃষক আদম আলী। পরে সবার পরার্মশ নিয়ে ২০১৮ সালে নিজস্ব জমিতে টিনশেড দিয়ে তৈরি করেন একটি মসজিদ। নাম দেন ‘বাইতুল মেরাজ জামে মসজিদ’। ২০২১ সালে এতিম শিশুদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা করেন তিনি। অবশেষে ৪০ জন এতিম শিশুর জন্য করলেন মাদরাসা। এই মাদরাসায় থাকবে এই শিশুরা। তাদের সব ধরনের খরচ বহন করবেন মাদরাসা কমিটি।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এই মাদরাসার উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল রানা, মাওলানা আলমগীর ভূঁইয়া যুক্তিবাদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাশেম আলী, মাদরাসা এন্তেজামিয়া কমিটি ও জমি দানকারী আদম আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

মাদরাসা পেয়ে খুশি এতিম শিশুরা। ফয়েজ আহমেদ নামের এক ছাত্র বলে, ‘আমাদের অনেকের মা নেই, বাবা নেই। আমাদের অনেক ইচ্ছা পূরণ হয় না। হয়তো এবার আমাদের ইচ্ছা পূরণ হবে। আজ আমাদের জন্য মাদরাসা করা হলো। আমাদের থাকা-খাওয়া,পড়াশোনার জন্য জায়গা করে দেয়া হলো। আমরা এতে অনেক আনন্দিত।’

মাদরাসা এন্তেজামিয়া কমিটিকে জমিদানকারী আদম আলী বলেন, ‘ইসলামে বলা আছে— একজন এতিম শিশুর অধিকার সবার আগে দিতে হয়। আজকে এই এতিম শিশুদের জন্য আমি কিছু করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে। এখানে শিশুরা থাকবে, পড়বে, মানুষের মতো মানুষ হবে—এতেই আমি খুশি।’

তিনি বলেন, আমি চাই আজকে এই এতিমদের জন্য সবাই এগিয়ে আসুক। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আবেদন থাকবে যাতে তারা এই শিশুদের দিকে তাকান।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এমএস