যশোরে মঞ্জুর হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্ত ১০
যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাস্তুহারা লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মঞ্জুর রশীদ হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান আনঞ্জারুল হক খোকনসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটক ইব্রাহিম হোসেন বাবুর অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে শনিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল উদ্দিন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনঞ্জারুল হক খোকন, সুলতানপুর গ্রামের ইসহাকের ছেলে বায়েজিদ, হামিদপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে আক্তারুজ্জামান আফরু, দায়তলা গ্রামের মৃত আলিম মুন্সির ছেলে হাসান, ফতেপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মফিজ, চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত আনছার বিশ্বাসের ছেলে মোশারফ, নিকাইল হোসেনের ছেলে গোলাম, শেখহাটির আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কানন, মোবারক হোসেনের ছেলে মইনুল হোসেন ও নালিয়া গ্রামের মান্দারের ভাগ্নে সজিব ওরফে বেকা সজিব।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুর রশীদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়ীক বিষয় নিয়ে আফরুর সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। এ নিয়ে আফরু তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
অপরদিরকে মঞ্জুর রশীদ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচনে মঞ্জুরের কাছে পরাজয় বরণ করতে পারে আশঙ্কায় ছিলেন। এরমধ্যে আফরু চেয়ারম্যান খোকনের সাথে হাত মিলিয়ে মঞ্জুর রশীদকে হত্যা করে। আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
চার্জশিটে অভিযুক্ত বায়েজিদ, মফিজ, মোশরফ, গোলাম, আনঞ্জারুল হক খোকন ও কাননকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঞ্জুর রশীদ যশোরের বাঘারপাড়ার ক্ষেত্রপালা গ্রামের ইউসুব আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি বাস্তহারা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে মঞ্জুর রশীদ যশোর আদালতে যান। বিকেলে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ইজিবাইকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আরএন রোডের খালধার মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ইজিবাইকের গতিরোধ করে স্বপনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় স্বপনকে উদ্ধার করে হসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে পরদিন ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি