ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বছরজুড়ে খুলনায় কারোনা নিয়ে আলোচিত যত ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | খুলনা | প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। এ প্রবাদবাক্য আবারও যথার্থ প্রমাণ করে বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে বছরজুড়ে খুলনার মানুষ শঙ্কায় দিন কাটিয়েছে। ১৩ এপ্রিল খুলনায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরসহ অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে স্বস্তির খবর হলো- বছরের শেষে ৩০ ডিসেম্বর খুলনায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছে।

প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ঠিক তখনি খুলনায় শুরু হয়েছিল অঘোষিত লকডাউন। সুনশান ছিল রাস্তাঘাট। ১৩ এপ্রিল খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। খুলনার ছোট বয়রার করিমনগরের আজিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন খুলনার সিভিল সার্জন। তাৎক্ষণিক খুলনাজুড়ে শুরু হয় আতঙ্ক। ২১ এপ্রিল প্রথম আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়।

লকডাউন

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ৮ এপ্রিল রাতে জেলা প্রশাসন খুলনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। ওই সময়ে অনুমতি ছাড়া খুলনা জেলায় সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আলোচনার কেন্দ্রে ছিল দুর্নীতি

করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে খুলনায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন কিছু অসাধু ব্যক্তিরা। ১৭ মে দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা সাসপেক্টেড ফ্লু কর্নার থেকে দালালের হস্তক্ষেপে পরীক্ষা ছাড়ায় করোনামুক্ত সনদপত্র দেয়া হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিককে। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য খুমেক হাসপাতালে আরিফুল হোসেন (৩০) নামে এক কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১২ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটম্যান পদে কর্মরত নওশাদ করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রি করেন। পজিটিভ এক গৃহবধূকে নেগেটিভ সনদ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন।

করোনা রোগীকে ধর্ষণচেষ্টা

১৩ জুন মধ্যরাতে খুলনায় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক তরুণী (২৬) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় নজরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

করোনা রোগীকে হয়রানি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র নার্স ও নার্সিং সুপারভাইজার শিলা রানী দাসের পরিবার হয়রানির শিকার হন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারীরা তাদের হয়রানি করে। ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নিজেই এ অভিযোগ করেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কাউন্সিলর।

হামলার শিকার পুলিশ

কারোনা সংক্রমণরোধে ২২ জুন সকালে ফুলবাড়িগেট বাজারে আড্ডা দিতে নিষেধ করায় বখাটেদের হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমঝোতা করে দেন।

আলমগীর হান্নান/এএএইচ/এমকেএইচ