নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরাল উদ্বোধন
নিজ হাতে গড়া গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীতে অবস্থিত স্বপ্নের নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ৬৭তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের এবারের জন্ম দিনে শুক্রবার নুহাশ পল্লীতে উন্মোচন করা হয়েছে তার প্রতিকৃতির ম্যুরাল। হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন। পরে তিনি হুমায়ুন আহমদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জন্ম দিনের কেক কাটেন। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত এবং কন্ঠ শিল্পী এসআই টুটুল সঙ্গে ছিলেন।
নুহাশ পল্লীতে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালটি। নুহাশ পল্লীতে অবস্থানকালে হুমায়ূন আহমেদ যে হাউজটিতে থাকতেন ম্যুরালটি সেই হাউজের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে। প্রবেশের পরপরই দেখা যাবে প্রিয় লেখকের প্রতিকৃতি।
ম্যুরালের চিত্র শিল্পী হাফিজ উদ্দিন বাবু জানান, দেশের লাখো লাখো ভক্তের মতো তিনিও একজন ভক্ত। হুমায়ূন আহমেদের প্রতি ভালবাসা থেকে মূলত ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। পরে চলতি বছরেই ম্যুরালটি নির্মাণের জন্য হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে প্রস্তাব দেয়া হয়। শিল্পী এবং শাওনের অনুমতি নিয়ে চলতি বছরের ১ অক্টোবরে ম্যুরাল নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া ম্যুরালটি সম্পন্ন করতে ২০ দিন সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, লেখকদের মধ্যে বাংলাদেশে এটিই সর্ববৃহৎ এবং প্রথম ম্যুরাল। ম্যুরালটি স্থাপন করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
উল্লেখ্য, জনপ্রিয় লেখক ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় অবস্থিত নুহাশ পল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়।
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/এমএস