ব্যস্ত প্রার্থীরা, হতাশায় ভোটাররা
পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা বড়লেখা পৌরসভার নির্বাচন হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। প্রচারণার শেষ পর্যায়ে জমে উঠেছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। ভোটাদের মন জয় করার জন্য নানা কলা কৌশল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সিস্টেমে ভোট দেয়া নিয়ে হতাশ ভোটাররা।
পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৫২৩ জন এবং নারী ভোটার ৭৯২০ জন।
এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ ও সংরক্ষিত সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ২৮ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন অনোয়ারুল ইসলাম। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী মো. সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী মো. সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রচার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে একটি মহল। নিরপেক্ষ ও সুস্থ নির্বাচন হলে পৌরবাসী তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসী আমাকে আবার ভোট দেবে। বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে সুন্দর পরিবেশ থাকবে।
পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা সঠিক নয়।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ ভোটারের কোনো ধারণা নেই। ভোটাররা বিভ্রান্তিতে পড়বেন। যদি ভোটাররা সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা হলে আমার বিজয় নিশ্চিত।
এসব বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান বলেন, যে প্রার্থী উন্নয়ন করবে তাকেই আমরা নির্বাচিত করব। তবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নিয়ে সবাই হতাশ।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন চলছে নির্বাচনী আলোচনা। নির্বাচনকে সামনে রেখে চারদিকে সাজ সাজ রব। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে এবং দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাদিকুর রহমান জানান, নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইভিএমে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এফএ/এমএস