ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বঙ্গবন্ধুকে জাতির কাছ থেকে সরিয়ে নিতেই এত ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট | প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধুকে জাতির কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে নানা সময় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধিতা তারই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি টাকায় ছাপানোর সময়ও এক শ্রেণির লোক এর বিরোধিতা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির কাছ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারাই আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঐতিহ্যবাহী সিলেট স্টেশন ক্লাবের বিজয় দিবস ও মুজিব শতবর্ষের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি সদর উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও ক্লাবের সহসভাপতি মো. আবু বক্কর হিরনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতর সিলেটের পরিচালক মো. ইমরান হোসেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসাইন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহকারী বন কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন নেতা অধ্যাপক ডা. এম ফয়েজ উদ্দিন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন।

এর আগে শুরুতে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন ক্লাব সভাপতি। এরপর বিজয় দিবস ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

পরে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন পর্ষদের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ভাস্কর্যের নামে নানা ধরনের সমালোচনা, বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। এ ধরনের তৎপরতা আগেও হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি যখন টাকায় ছাপানো হলো তখন তারা বলেছে টাকায় ছবি থাকলে নাকি নামাজ হয় না। অথচ এক সময় কায়েদে আযমের ছবিসহ টাকা নিয়ে নামাজও পড়েছে, চুমু খেয়েছে। তখন সমস্যা হয়নি।

বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানেরও ভাস্কর্য আছে তাদের কার্যালয়ের সামনে। তখন সমস্যা হয় না। শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হলেই সমস্যা, তখন এটিকে মূর্তি বলে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হয়।

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস