ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় রাধা রাণী নামে এক তরুণীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে আবদুল খালেক (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, একই সঙ্গে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জেলা ও দায়রা জজ অ্যাসিড অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক রাশেদা সুলতানা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

আবদুল খালেক সদর উপজেলার আনালেরতাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার আনালেরতাড়ী গ্রামের মৃত চণ্ডিচরণ মোদকের মেয়ে রাধা রাণীকে (১৭) একই গ্রামের আবদুল খালেক প্রেম নিবেদন করে। এতে রাধা রাণী তার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ২০০৭ সালের ৬ নভেম্বর রাতে রাধা রাণী ও তার বোন বিউটি রাণী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় আবদুল খালেক কৌশলে ঘরের দরজা খুলে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে রাধা রাণীর মুখ, বুক ও পিঠের অংশ এবং তার বোন বিউটি রাণীর ঘাড় ও পিঠের অংশ ঝলসে যায়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সরওয়ার আনিছ মোস্তফা তোতন জানান, এ ঘটনায় রাধা রাণীর মা স্নেনলতা বাদী হয়ে সদর থানায় ৭ নভেম্বর আবদুল খালেককে আসামি করে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল খালেককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তিনি আরও জানান, অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়ার পর ব্র্যাকের সহযোগিতায় রাধা রাণীকে এএসএফ কর্তৃক ঢাকায় নিয়ে গিয়ে র্দীঘদিন চিকিৎসা করা হয়। এ সময় রাধা রাণীর মুখ তিনবার প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আবদুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

রাষ্ট পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী কৌসুলি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের ৫ (ক) ও (খ) ধারায় অভিযোগ প্রামাণিত হওয়ায় ৫ (ক) ধারায় ৫০ হাজার ও ৫ (খ) ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৫ (ক) ধারায় আরও এক বছর ও ৫ (খ) ধারায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। উভয় বিচার একই সঙ্গে চলবে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে আসামি আবদুল খালেক গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

অমিত দাশ/এসএস/পিআর