ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বাদ জুমা ফরিদপুরে কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজা

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজার নামাজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বাদ জুমা বিকেল ৩টায় শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে তার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফরিদপুরে এসে পৌঁছেছে।

বুধবার দুপুর পৌনে একটার দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।

পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মৃতদেহ হিমবাহ গাড়িতে করে ঢাকার বসুন্ধরার বাসভবনে রাখা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তার লাশ ফরিদপুর শহরের ময়েজ মঞ্জিলে এসে পৌঁছালে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের স্ত্রী, মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে ফরিদপুরে এসেছেন।

এ সময় সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান পিংকুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ নভেম্বর নিউমনিয়াজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কামাল ইবনে ইউসুফ। ২১ নভেম্বর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। গত এক সপ্তাহ যাবত তাকে সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার দুপুর পৌন ১টার দিকে তার লাইফ সাপোর্টটি সরিয়ে ফেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুর খবরে ফরিদপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ১৯৪০ সালের ২৩ মে ফরিদপুর জেলার সম্ভ্রান্ত বাঙালি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে তিনি পাঁচ বার সাংসদ নির্বাচিত হন।

১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ সেখানে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন।

তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন, ওই সময় তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি তার আসন হারান।

সিকদার সজল/এফএ/এমএস