বাগেরহাটে ঘর বরাদ্দের তালিকায় দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধার নাম নেই
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত বাগেরহাটের শরণখোলায় পাঁচটি ঘরের তালিকায় দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নেই। সরকার অসচ্ছল ও গৃহহীনদের নামে ওই ঘর বরাদ্দ করলেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কতিপয় নেতা গোপনে তা সচ্ছলদের নামে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে তারা পাঁচ জনের একটি তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা।
শরণখোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সংসদের সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) মো. হারুন অর রশিদ খান বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালযের মাধ্যমে সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত শরণখোলার দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ২০১৪ সালে পাঁচটি ঘর বরাদ্দ দেয়। প্রতিটি সেমি পাকা (টিনশেড বিল্ডিং) ঘরের নির্মাণ খচর ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু সংসদের কতিপয় নেতা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গোপনে নিজেদের পছন্দমতো একটি তালিকা তৈরি করেন। সম্প্রতি ওই তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পারেন। এতে ভূমিহীন, অসচ্ছল ও গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে তালিকা থেকে সচ্ছলদের নাম বাদ দিয়ে দুঃস্থদের নাম অন্তর্ভূক্তির দাবি জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সংসদের ওইসব নেতারা দীর্ঘদিন ধরে ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভাতা উত্তোলন করে তা ভোগ করে আসছেন।
শরণখোলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ খালেক খান বলেন, সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অনৈতিক সুবিধা নেয়া হয়নি।
যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, প্রায় ৫০০ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বহু অসহায় রয়েছেন। এদের মধ্যে থেকে মাত্র পাঁচ জনকে সিলেকশন করা খুবই কঠিন। যাদের নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে তারাও ঘর পাওয়ার যোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সাখাওয়াত হােসেন, সহকারী কমান্ডার হাবিবুর রহমান জমাদ্দার, মাস্টার মৃনাল কান্তিসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
শওকত বাবু/এমএএস/এমএস