ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নওগাঁয় পানিফলের চাষ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:২৬ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

স্বল্প সময়ে কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় নওগাঁয় অনেকেই আগ্রহ করে চাষ করছেন পানিফল। বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা ও পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ করা হচ্ছে।

দুই দিকে ধারালো শিং। ফলটি পানিফল নামে পরিচিত। আবার কেউ কেউ সিঙ্গাড়া ফলও বলে। পানির নিচে মাটিতে এর শেকড় থাকলেও পানির উপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। কচি অবস্থায় পানিফল দেখতে প্রথমে লাল, একটু পরিপুষ্ট হলে সবুজ এবং সব শেষে কালো রঙ ধারণ করে। ফলের ভেতরের অংশে সাদা শাঁস। এই শাঁস অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। কাঁচা এবং সিদ্ধ দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়।

আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে যখন জলাশয়গুলোতে পানি জমে তখন সে পানিতে পানিফলের চারা ছেড়ে দেয়া হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে চারা গাছের সংখ্যা। গাছে গাছে ভরে যায় জলাশয়গুলো। পানিতে ছড়ানোর তিনমাস পর থেকেই এই ফল পাওয়া যায়। ভাদ্র মাস থেকে গাছে ফল আসা শুরু করে এবং কার্তিক মাসের শেষে ফল বিক্রি শুরু হয়। জলাশয়ে হাটু সমান পানি থাকলে নেমে পানিফল সংগ্রহ করে। আবার পানি বেশি থাকলে নৌকায় চড়ে পানিফল সংগ্রহ করা হয়।

Panifol-Pic
নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দী এলাকার টুটুল জাগো নিউজকে জানান, তিনি গত বছর ২২কাঠা জমি ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে সেখানে পানিফলের চাষ শুরু করেন। পানি শুকিয়ে গেলে অন্য সময় ধানের আবাদ করেন। সপ্তাহে ২ দিন পানিফল সংগ্রহ করে বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন। বাজারে এখন পানিফলের দাম ৫৫০ টাকা মণ। পানিফল রোপনের সময় প্রায় ৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। ৩ মাসে বিক্রি করেছেন ৪০ হাজার টাকা।

 হাঁপানিয়া গ্রামে মাসুদ জানান, রাস্তার ধারে ধানের ১৫ কাঠা জলাশয়ে পানিফল চাষ করছেন। এছাড়া বাড়ির খাবারের জন্য মাছ ছাড়া হয়েছে। পানিফল স্বল্প সময়ে একটা লাভজনক ফসল বলে তিনি মনে করেন।

মান্দা উপজেলার বালুবাজার গ্রামের নাজমুল হাসানজিাগো নিউজকে বলেন, ১ বিঘা পরিমাণ জলাশয় বর্গা নিয়ে পানিফল লাগিয়েছেন। এতে খরচ বাদে ভাল লাভ থাকবে। আর্থিকভাবে কিছুটা লাভবান হবেন। সাত্তার হোসেন নিজের এবং বর্গাসহ ৩ বিঘা জমিতে পানিফল লাগিয়েছেন। পানিফল লাভের টাকা দিয়ে ধানের আবাদ করবেন বলে জানান।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, পানিফল গাছে এক ধরনের লতি হয়। সেই লতি তুলে রেখে পানিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। একমাত্র জলাশয়েই পানিফল ফলে। কাটিং থেকে এর বংশবিস্তার হয়। গত বছর ২৬ হেক্টর জমিতে পানিফল লাগানো হলেও এবার প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে পানিফল লাগানো হয়েছে। পানিফল চাষ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়। তবে পানিফলের তেমন কোনো রোগ না থাকায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করেছে।

এসএস/আরআইপি