ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ধানের চারা খাওয়ায় ছাগলের পেটে ছুরি বসালেন শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

পূর্ব শত্রুতার জেরে বরগুনার বামনায় একটি ছাগলের পেটে ছুরি বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি একটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনার তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, অসাবধানতাবশত ঘটেছে এমন ঘটনা।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বামনার সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর এলাকায় এমন নির্মমতার শিকার হয়েছে ছাগলটি। এতে অবলা প্রাণীটির পাঁজর ভেদ করে পেটে ঢুকে যায় ছুরি। এতে কেটে গেছে ছাগলটির পাকস্থলী। আহত ছাগলটি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসকরা।

এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) তদন্ত শুরু করে বামনা থানা পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।

ছাগলটির মালিক বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মো. সৈকত হাওলাদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছাগলটি মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পাঁজরে ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় মামলার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমি ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা এই ছাগল খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই ছাগলের কাছ থেকে ধানখেত সুরক্ষিত রাখার জন্য আমি বেষ্টনী তৈরি করছিলাম। এমন সময় ফের খেতে এসে ধানের চারা খাওয়া শুরু করে এই ছাগলটি। তখন আমি ছাগলটি তাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ছুরিটি ছাগলটির দিকে ছুড়ে মারি। এতে ছাগলের শরীরে ছুরিটি বিদ্ধ হয়।’

তিনি আরও বলেন, আমি বুঝতে পারিনি যে, ছুড়ে মারা ছুরিটি এভাবে ছাগলের পেটে বিদ্ধ হবে! একজন শিক্ষক হয়ে এ ধরনের কাজ করা একদম সঠিক হয়নি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে কর্মরত ড্রেসার মো. সেলিম খান বলেন, ছুরিবিদ্ধ হয়ে ছাগলটির পাকস্থলী চার ইঞ্চির মতো কেটে গেছে। ছাগলটি বাঁচার সম্ভাবনা কম জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী ছাগলটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এসআর/এমএস