ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঝালকাঠিতে বিএডিসির বীজ সংকট

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২০

ঝালকাঠিতে প্রান্তিক ক্ষুদ্র চাষিদের পুনর্বাসন ও প্রণোদনার বীজ এবং সার বিনামূল্যে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এ কারণে কৃষি বিভাগ বাহির থেকে বীজ এনে কৃষকদের বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। তবে এসব বীজ নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা।

জানা গেছে, জেলার চাহিদা ছিল বোরো ২১ টন, সূর্যমুখী দেড় টন, চিনা বাদাম ছয় টন, মশুর ডাল পাঁচ টন এবং খেসারি আট টন। কিন্তু কৃষি বিভাগ সরবরাহ করেছে বোরো পাঁচ টন ১৩৭ কেজি, সূর্যমুখী পাঁচশ কেজি, চিনা বাদাম এক টন ১৬৫ কেজি, মশুর ডাল চার টন এবং খেসারি তিন টন ৩০০ কেজি।

সদর উপজেলায় চাহিদা ছিল বোরো আট টন, সূর্যমুখী ১৫০ কেজি, চিনাবাদাম ৩০০ কেজি, মশুর ডাল দেড় টন এবং খেসারি দুই টন ৪০০ কেজি। কিন্তু কৃষি বিভাগ সরবরাহ করেছে বোরো ৪৪০ কেজি, মশুর ডাল এক টন ২০০ কেজি এবং খেসারী এক টন।

সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বিঘা প্রতি একজন চাষিকে এক কেজি সরিষা বীজের সঙ্গে ডিএপি ও এমওপি সার ২০ কেজি, পাঁচ কেজি মশুর ডাল বীজের সঙ্গে ডিএপিও, এমওপি সার ১০ কেজি, আট কেজি খেসারি ডাল বীজের সঙ্গে ডিএপি ও এমওপি সার ১০ কেজি, ৫০ গ্রাম টমেটো বীজের সঙ্গে ডিএপি ও এমওপি সার ২০ কেজি, ৩০০ গ্রাম মরিচের বীজের সঙ্গে ডিএপি ও এমওপি সার ২০ কেজি দেয়া হয়েছে।

পুনর্বাসন তালিকাভুক্ত বিঘাপ্রতি একেকজন চাষিকে ২০ কেজি গম, এক কেজি সূর্যমুখী ও ১০ কেজি চিনাবাদাম বীজ দেয়া হলেও তাতে কোনো সার বরাদ্দ নেই।

চাষিদের অভিযোগ, ভালো ফসলের জন্য ভালো বীজের প্রয়োজন। বিএডিসি থেকে সংগৃহীত বীজের মান স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু বীজ সংকটের কারণে বাহির থেকে যে বীজ আনা হয়েছে সেগুলোর মান ভালো না। এমন বীজ থেকে ভালো ফসলের আশা করা যায় না। তাতে সরকারের কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের কার্যক্রম শতভাগ সফল না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিফাত সিকদার বলেন, বিএডিসিতে বীজের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে না পারায় বাহির থেকে বীজ কিনতে হয়েছে। কৃষকদের ভালোমানের বীজই বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মো. আতিকুর রহমান/এসএমএম/এমএস