জাল সনদে ৬ বছর শিক্ষকতা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন পর বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় গত ৫ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী তাকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি ইস্যু করেছেন। যার স্মারক নং-জেপ্রশিঅ/লাল/এফ-সামঃ বরঃ/২০২০/১৬৭৩/৮ ।
জানা গেছে, হাছনা আক্তার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এছাড়া তিনি ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মুন্সির ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী।
হাছনা আক্তার তার বড় বোনের দাখিল পাশের সনদপত্রে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে চাকরি নেন। পরে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের জন্য লালমনিরহাট জেলা পুলিশ (বিশেষ শাখা) ওই বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে হাছনা আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির সত্যতা পায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষিকা হাছনা আক্তারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি।’
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচলনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ মুন্সি বলেন, ‘সে আমার ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সনদ ভুয়া কিনা আমার জানা নেই।’
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাছনা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।’
রবিউল হাসান/এএইচ/জেআইএম