ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়াকে ইউনিয়ন ঘোষণার দাবি

প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

`দাবি মোদের একটাই দাশিয়ারছড়ায় ইউনিয়ন চাই` এই স্লোগানকে সামনে রেখে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার কয়েক হাজার মানুষ মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল নিয়ে আসেন কুড়িগ্রাম শহরে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিল নারী ও শিশু।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। এসময় কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক পথে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান, দাশিয়ারছড়ার সভাপতি আলতাফ হোসেন, দাশিয়ারছড়ার সাবেক পঞ্চায়েত নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান, অ্যাড. নজির হোসেন ব্যাপারী, অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লেখা তাদের একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের হাতে হস্তান্তর করে তাদের একটি প্রতিনিধি দল।

বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাশিয়ারছড়া ইউনিটের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহল। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ছিটমহল দাশিয়ারছড়া। প্রায় ছয় বর্গকিলোমিটার আয়তনের দাশিয়ারছড়ার লোকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। সঙ্গত কারণে আমরা স্বতন্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ দাবি করছি।

সাবেক ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান সরকারের কুটনৈতিক সফলতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে আমরা ৬৮ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তিদাতা মা। সেই মায়ের কাছে সন্তানদের দাবি দাশিয়ারছড়াকে স্বতন্ত্র ইউনিয়ন পরিষদের মর্যাদা দেয়া হোক।

কারণ ইতোপূর্বে ভারত সরকার এটিকে ইউনিয়ন পরিষদের মর্যাদা দিয়ে আসছিল। এখানকার জনগণ ছিটমহল থাকা অবস্থায় প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন করে পরিচালনা করতো। চলতি বছর ৩১ জুলাই মধ্যরাতে এ ভূখণ্ডটি বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত হয়। গত ১৫ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাশিয়ারছড়ায় সফরে এলে সবার প্রত্যাশা ছিল ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষিত হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ আশাহত হয়েছেন।

নাজমুল হোসেন/এমজেড/এমএস