ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জালিয়াতি করলেন ব্যাংক কর্মকর্তা নোটিশ পেলেন গ্রাহক

প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

বান্দরবানে টিটি (টেলিফেনি ট্রান্সফার) জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছেন কৃষি ব্যাংকের মুখ্য কর্মকর্তা। ২০১১ সাল থেকে ১৮টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নেন এ কর্মকর্তা। বিষয়টি জানার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। কৃষি ব্যাংকের বান্দরবান শাখায় তথ্য অনুসন্ধানে এসব গুরুতর অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে কৌশলে টিটি জালিয়াতি করে চলতি মূলধনী ঋণ (সিসি একাউন্ট), চলতি হিসাব (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) ও সঞ্চয়ী হিসাবের ১৮টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মুখ্য কর্মকর্তা আবুল কালাম প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাত করেন। আর এসব অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। ব্যাংকের সেপ্টেম্বর মাসে জুড়ে করা অডিটে জালিয়াতির চিত্রটি ধরা পড়ে। এছাড়াও টিটি জালিয়াতিতে ব্যাংকের একাধিক ব্যক্তি জড়িত আছে বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

আরো জানা যায়, বান্দরবানে বদলি হওয়ার আগে আবুল কালাম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় টিটি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল। আবুল কালামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় হাইটগ্য এলাকায় বলে জানা গেছে।

এদিকে, ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, ব্যাংকে নিয়মিত লেনদেন করার মাধ্যমে মুখ্য কর্মকর্তা আবুল কালামের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ধার নেয়। কিছুদিন পর মোবাইল ফোনে জানাই তাদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টিটির মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া হয়েছে। তাই টাকাগুলো চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে তাদের টাকা নিয়ে নেওয়ার জন্য আর কর্মকর্তার নামে আসা টাকাগুলো পরিশোধ করার জন্য। পরে তারা টাকাগুলো উত্তোলন করে আর বাকি টাকাগুলো পরিশোধ করেন।

তারা আরো জানান, মাস খানেক পরে তাদের চেকে সমস্যা রয়েছে জানিয়ে ব্যাংক থেকে কারণ দর্শনোর নোটিশ পাঠানো হয়। আর নোটিশ হাতে পেয়েই ভুক্তভোগীরা জানতে পারে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম টিটি জালিয়াতি করেছেন। পরে কারণ দর্শানোর নোটিশে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালামের বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগীরা।

আর এসব তথ্য জানার পরই ঊর্ধ্বতন মহল শাখাটিতে অডিট কার্যক্রম চালায়। আর অডিটে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামসহ কয়েকজনের টিটি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আবুল কালাম কক্সবাজারে তিন তলা বাড়িসহ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় তার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।

বান্দরবানের ব্যবসায়ী রহমতউল্লাহ বলেন, আবুল কালাম আমার অ্যাকাউন্টে ওনার দুই লাখ টাকা টিটির মাধ্যমে জমা হয়েছে জানিয়ে আমাকে ওই টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলনের কথা বলে। আমি ওই টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আমার থেকে ধার করা ২০ হাজার টাকা নেয়।

সৈকত দাস/এআরএ/আরআইপি