ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাওনা টাকার জন্য ঘরে আটকে রাখায় আত্মহত্যা

সাভার (ঢাকা) | প্রকাশিত: ০৮:৩৬ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০

সাভারে মেসের খাবারের ১৩ হাজার টাকার জন্য আটকে রেখে চাপ প্রয়োগ করায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মাজহারুল ইসলাম (২২) তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি স্থানীয় আলেয়া গার্মেন্টের শ্রমিক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিহরপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে।

আটকরা হলেন, মোহাম্মদ সেলিম ও তার স্ত্রী নাবিতা খাতুন। তারা হেমায়েতপুর নতুন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ব্যাচেলরদের রান্নার কাজ করেন।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বোন হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টে চাকরি করতেন। একই বাসায় সেলিম ও তার স্ত্রী নবিতা খাতুন ভাড়া থাকেন। তারা ওই বাসায় ব্যাচেলরদের রান্না করেন।

মাজহারুলের বোনকেও মাসিক চুক্তিতে রান্না করে খাওয়াতেন ওই দম্পতি। কিন্তু চার মাস আগে খাবারের বকেয়া ১৩ হাজার টাকা না দিয়েই বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান মাজহারুলের বোন। ওই টাকা পরিশোধের জন্য অনেক দিন ধরেই মাজহারুলকে তাগাদা দিয়ে আসছিলেন সেলিম দম্পতি।

সোমবার দুপুরে মাজহারুল গার্মেন্টে গেলে সেলিম তাকে হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকায় তার বাসায় ডেকে আনেন। পরে টাকা পরিশোধ করার শর্তে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।

কিছু সময় পর কক্ষের দরজা ভেতর থেকে আটকে দেন ওই যুবক। এ সময় ঘরের অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেন মাজহারুল। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় মাজহারুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মাজহারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন সিকদার বলেন, নিহত মাজহারুলের বোনের কাছে মাসিক খাবারের ১৩ হাজার টাকা পাওনা ছিল সেলিম ও তার স্ত্রীর। ঋণের এই টাকার জন্যই সেলিম ও তার স্ত্রী মাজহারকে কক্ষে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু মাজহার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে সেলিম ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার যদি চায় তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হবে।

আল-মামুন/এফএ/পিআর