৫ ভারতীয় নাগরিকের কারাদণ্ড
সোনা চোরাচালানের অভিযোগে যশোরে পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে উদ্ধার হওয়ায়া চার কেজি ৪০০ গ্রাম সোনা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ভারতের নাগপুর সিটির শান্তিনগর নাইকোসির বাসিন্দা চাঁদ লাল বাজাজের ছেলে বিজয় কুমার, জীরাপটকা হুদকো কলোনির অশোক অধনীর ছেলে কামাল, নিট কোয়াটারের গোলাবমাল ক্ষতরীর ছেলে রাম কুমার গোলাবমাল, কাছিকলি অলোকার সিন্দী ক্যাম্পের বাসিন্দা অশোক রাধারাম মালানীর ছেলে রহিত অশোক ও আহমেদাবাদ ভিননাক পার্কের বাসিন্দা অশ্বনী লক্ষন ভাই হটচাঁদের ছেলে রাকেশ লক্ষন ভাই।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ জুন যশোরের বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল সড়কের আকিজ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করতে থাকে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি একটি বাস তল্লাশি করে ওই পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিজিবি।
পরে আটক পাঁচজনের মলদ্বারের ভিতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৩৬টি সোনার বার (ওজন চার কেজি ৪০০ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। যার দাম দুই কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকা, ভারতীয় রূপি ও দুবাইয়ের দিরহাম পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বিজিবি-২৬ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার আজিজুল হক বাদী হয়ে ওই পাঁচজনকে আসমি করে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় গত ১ জানুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চর্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিনুর রহমান। এরপর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করা হয়।
ধার্য তারিখ রোববার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে চার্জ গঠন করে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন ওই পাঁচ ভারতীয়।
আসামিরা সোনা চোরাচালানের দোষ স্বীকার করায় বিচারক প্রত্যেকে আসামিকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্তরা কারাগারে আটক রয়েছে।
মিলন রহমান/এআরএ/পিআর