সেই শিশুর পাশে ‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতলামারী গ্রামের অসুস্থ শিশু নীরবের (১০) চিকিৎসায় পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’।
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলে নীরবের মৃত্যু কামনা করছিলেন মা নাছরিন বেগম। এ নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জাগো নিউজে ‘ছেলের কষ্ট দেখে মৃত্যু চাইছেন মা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ও ভিডিও প্রকাশের পর নীরবের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি।
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, শিশু নীরব চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ার পর আমরা শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিশু নীরব ও তার অভিভাবকদের অ্যাম্বুলেন্স যোগে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নীরবকে সেখানো ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার দুই মাসের ওষুধ দিয়েছেন। দুই মাস ওষুধ খাওয়ার পর শারীরিক অবস্থা দেখে নীরবকে আবারও পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
নীরবের মা নাছরিন বেগম জাগো নিউজকে বলেন, একজন মা কখনও সন্তানের মৃত্যু কামনা করে না। আমি মা হয়ে সন্তানের মৃত্যু কামনা করেছিলাম। জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর আমার ছেলে নীরবের পাশে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য দোয়া রইলো।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর সবুর জানান, ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমরা শিশু নীরবকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়েছে। নীরবকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য জাগো নিউজকে ধন্যবাদ জানাই। তার চিকিৎসায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডু সামথিং ফাউন্ডেশনকেও ধন্যবাদ জানাই।
জাহিদ খন্দকার/আরএআর/পিআর