শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ দুই হেলপারের বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নাচের শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে রাজিব পরিবহনের হেলপার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাসের হেলপার আরিফকে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষিকা জেলার নান্দাইল উপজেলার কাবাড়ি গ্রামের আমোদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি নৃত্য সঙ্গীতালয়ের প্রশিক্ষক। গ্রেফতার আরিফ উপজেলার রামাকানা গ্রামের বাসিন্দা। তার সহযোগী আজিজুল একই গ্রামে বসবাস করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় আরিফ ও আজিজুলকে আসামি করে মামলা করেন।
মুক্তাগাছা থানার ওসি জানান, রোববার বিকেলে ওই শিক্ষিকা তার অসুস্থ বাবাকে দেখতে ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ আসেন এবং সেখানে তিনি ভুলক্রমে নগরীর দিঘারকান্দা বাইপাস মোড় থেকে জামালপুরের রাজিব পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বিষয়টি গাড়ির হেলপার আরিফ হোসেনকে জানানোর পর তিনি ওই শিক্ষিকাকে আশ্রয় দিতে তার বাড়ি মুক্তাগাছার রামাকানা গ্রামে গাড়ি থেকে নামেন। সেখান থেকে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামাকানার এক বাগানে তাকে ধর্ষণ করে আরিফ।
এরপর রাতেই ওই শিক্ষিকাকে তার সহযোগী আজিজুলের হাতে তুলে দেয় আরিফ। পরে আজিজুল তার বাড়ির পাশে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর ওই শিক্ষিকাকে কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। পরে ওই শিক্ষিকা স্থানীয়দের বিষয়টি খুলে বললে এলাকাবাসী বাসের হেলপার আরিফকে আটক করে মুক্তাগাছা থানায় সোর্পদ করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশের ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, রাজিব পরিবহনের হেলপার আরিফ ও তার এক সহযোগী ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে। আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজিজুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এমএএস/পিআর