ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাজীপুরে স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী নাজনীন আক্তারকে (৭) জবাই করে খুন করার ঘটনায় হত্যাকারী ঘাতকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মাওনা-শৈলাট গাজীপুর সড়কের মোড়ল মার্কেট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহরাব রুস্তম, চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন সুলতান, সিংদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, চকপাড়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলী, কপাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ্ আলমগীরসহ অনেকে।

নিহত নাজনীন আক্তার (৭) শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈবরের মাইচচর এলাকার আক্কাছ আলীর মেয়ে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আক্কাছ আলী তার প্রথম স্ত্রী আসমা বেগমকে (নাজনীনের মা) রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তীতে নাজনীনের মা আসমা বেগমও দ্বিতীয় বিয়ে করে মেয়ে নাজনীনকে তার নানার কাছে রেখে স্থানীয় সলিং মোড় এলাকায় দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ঘটনার চার দিন পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজনীনের মামা রিপনকে ঢাকার রামপুরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই এলাকা থেকে তার সহযোগী বগুড়া সদর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল নামের অপর একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের হেফাজতে রেখে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলে  পাঠনো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া (মোড়ল মার্কেট) এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রী নাজনীন আক্তারকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
                        
মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/পিআর