ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্কুলের নাম ভাঙিয়ে মার্কেট নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার কারণে সরকারের নদী দখল রোধ কার্যক্রম ব্যর্থ হতে চলেছে। একদিকে সরকারের আট কোটি টাকা ব্যয়ে নড়াইলের কালিয়ায় সদ্য খননকৃত নলীয়া নদী দখল করে নির্বিঘ্নে চলছে মার্কেট নির্মেণের কাজ।

অবিরাম বর্ষণের ফলে নদীর ওই অংশের পাড় ভেঙে নদীতে পড়তে শুরু করেছে। নদীতে ২২টি দোকানের জায়গা বিক্রি করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নলীয়া নদীর ১৬ কিলোমিটার জায়গা আট কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে ‘পূর্বাচল মার্কেট’ নামে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্যরা নদীর পূর্ব পাড়ের নদীর মধ্যেই মার্কেট নির্মাণ করে চলেছে গত এক মাস ধরে।

যার প্রতিটি দোকানের জায়গা নিতে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দিতে হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্যদের বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকান নির্মাতা জাগো নিউজকে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুন্নু ও সদস্যরা তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
 
কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মাহামুদুল হাসান কায়েস বলেছেন, আমি এ ধরনের অন্যায়কে সমর্থন করি না। তবে য়ারা ওই কাজটি করছেন তাদেরকে আমার কিছুই বলার নেই। কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নাম করে ওই মার্কেট নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ের কী কাজে লাগবে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষন কেশব লাল মল্লিক ওই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান মুন্নুর সঙ্গে মোবইলে যাগাযোগ করা হলে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ওই সব মার্কেট নির্মাণে বিদ্যালয় থেকে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। দোকান প্রতি স্কুলে দুই লাখ টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও কোনো টাকা জমা হয়নি।

স্কুলের মেম্বররা স্কুলের নামে ওই জায়গা দখল করছে। তবে বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ওই টাকা নিয়ে থাকতে পারেন বলে তিনি জানান।

কালিয়ার ইউএনও মো. শাহিন হোসেন ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ওই নদী দখলের ঘটনায় তিনি কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। তিনি অবৈধ দখলদারদের লাঠি পেটা করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। ঘটনার বিষয়ে কালিয়ার ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টিতে আরো খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

হাফিজুল নিলু/এমজেড/পিআর