ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অনন্ত হত্যা : ফারাবিসহ ৪ জনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় বিতর্কিত ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিসহ চারজনকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার দুপুরে সিলেট মহনগর হাকিম আনোয়ারুল হকের আদালতে ফারাবিসহ চারজনের ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. আরমান আলী। তবে শফিউর রহমান ফারাবি আদালতে উপস্থিত না থাকায় পিছিয়ে যায় রিমান্ডের শুনানি।

আগামি ১৯ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। এদিকে, বুধবার অনন্ত হত্যা মামলায় আরো তিনজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। দুপুরে সিলেট মহানগর ২য় হাকিম আদালতে দুলাল বিশ্বাস, আবুল হাসান ও জাফরান হাসানকে হাজির করে এই হামলায় এই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।

 গ্রেফতার দেখানো সকলেই ঢাকায় খুন হওয়া বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি। এই নিয়ে অনন্ত হত্যা মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো। এরমধ্যে মান্নান রাহি আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ফটোসাংবাদিক ইদ্রিছ আলী জামিনে আছেন।

এর আগে এই তিনজনসহ ফারাবি শফিউর রহমানকে অনন্ত হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে বুধবার আদালতে ফারাবি হাজির না থাকায় তাকে গ্রেফতার দেখাননি বিচারক।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের হুমকি প্রদান করে আলোচনায় উঠে আসেন ফারাবি। ২০১৩ সালে খুন হওয়া ব্লগার রাজিব হায়দারের জানাযা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদী হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পান ফারাবি। গত ফেব্রুয়ারিতে অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর সিলেট নগরের মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

নতুন করে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো তিনজনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী।

প্রসঙ্গত, ১২ মে সকালে সিলেট মহানগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকায় ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আনসার বাংলা ৮ নামের একটি সংগঠন এই হত্যার দায় স্বীকার করে।

এ ঘটনায় ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে অনন্ত বিজয় দাশের বড়ভাই রতেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাটির তদন্তভার ঢাকার সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগকে দেয়া হয়েছে।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর