ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ধসে পড়ল সড়ক

জেলা প্রতিনিধি | টাঙ্গাইল | প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

দ্বিতীয় দফায় ধসে পড়েছে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের অর্ধেকের বেশি পাকা সড়ক। ফলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির চারাবাড়ি ঘাট হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি পড়েছেন সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষার শুরু থেকে সেতুর ৫০০ গজ দক্ষিণে কয়েকটি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে ড্রেজিং করে মাটি তোলা শুরু হয়। সেই মাটি ট্রাক দিয়ে সেতুর পশ্চিম পাশের লিংক সড়ক দিয়ে আনা-নেয়ার ফলে ভাঙনের স্থানে চাপ পড়ে। ফলে মাটিধসে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ধসে যাওয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করছে। সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোচালকরা উভয় পারে যানবাহন পার্কিং করে রেখেছেন।

সিএনজি চালক হুগড়া গ্রামের সাজেদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি ধসে যাওয়ায় শহরের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠেছে সেতুর নিচের অবস্থা। যেকোনো সময় সেতু ভেঙে যেতে পারে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কার না করা হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা।

অটোরিকশাচালক ফরিদ মিয়া বলেন, সড়কটি ধসে যাওয়ায় ও সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে না পারায় দুই পাশে গাড়ি পার্কি করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা যানবাহন থেকে এক পাশে নেমে আরেক পাশের যানবাহনে চলাচল করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। এতে করে যাত্রী ও চালকের সময় অপচয় হচ্ছে।

Tangail-Road-destroy1

কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নায়েব আলী বলেন, নদী থেকে অবৈধ ড্রেজিং আর ট্রাক চলাচল করায় সড়কের একই স্থান বারবার ধসে যাচ্ছে। এ কারণে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানাই।

কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইকবাল মিয়া বলেন, মাটিবাহী ট্রাক মোড় ঘোরানোর সময় অধিক চাপ পড়ে সড়কে। এ কারণে বারবার সড়কটি ধসে পড়ছে। ফলে পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষকে খুব কষ্টে শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও বন্ধ হয়নি ড্রেজার ব্যবসা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাজাহান আনছারী বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে এক হাজার জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। জিওব্যাগ ফেলা শেষ হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে এলজিইডির পক্ষ থেকে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/এমএস