সিলেটে আরও ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত
সিলেটে তিন চিকিৎসক, এক আইনজীবী ও এক পুলিশ সদস্যসহ একদিনে আরও ৫৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ২৮ জন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, রোববার ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৮ করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সিলেট মহানগর ও সদর উপজেলার ২৪ জন রয়েছেন। এর মধ্যে তিন চিকিৎসক ও একই পরিবারের ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজার সদর, হবিগঞ্জ সদর ও নবীগঞ্জ উপজেলার ১ জন করে রয়েছেন।
আক্রান্ত তিন চিকিৎসক হলেন- ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইফ্ফাত নওরীন চৌধুরী, ডা. বিপ্লব কুমার রায় ও ডা. বিপুল রায়। এছাড়া সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মো. শামসুল ইসলাম এবং ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল মো. লাভলু মল্লিক।
একই দিনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পিসিআর ল্যাবে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় এই ২৯টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক জি এম নুরুন্নবি আজাদ জুয়েল জানান, রোববার শনাক্ত হওয়া ২৯ জনের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৮ জন, হবিগঞ্জের ৮ জন, মৌলভীবাজারের ৫ জন ও সিলেটের ৮ জন। শাবির ল্যাবে রোববার সিলেটের ১২৩টি, হবিগঞ্জের ৪৭টি, মৌলভীবাজারের ৫২টি ও সুনামগঞ্জের ৭১টি নমুনাসহ মোট ৩২১ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে এদিন ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে এ ২৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৬ জন। এছাড়া গত ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ২১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫৩ জন, সুনামগঞ্জে ২২ জন, হবিগঞ্জে ১৫ জন এবং মৌলভীবাজারে ২১ জন।
আর সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৫৮ জন। এর মধ্যে সিলেটের ৫ হাজার ১২৪ জন, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৯৮২ জন, হবিগঞ্জে ১ হাজার ২৫৯ জন এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৪৯৩ জন।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ