ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে বেদানার চাষ

প্রকাশিত: ০৭:৫০ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সৌখিন চাষি জাহাঙ্গীর আলম বেদানা ফলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন। যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন কুলপালা গ্রামে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তিনি বেদানার চাষ শুরু করেন।

নিজের সফলতা অর্জনের পর বেদানা চাষের প্রসার ঘটাতে গাছের চারা ও কলম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। কৃষিবিদরা বলছেন বাংলাদেশের আবহাওয়াতে বেদানার চাষ সম্ভব। বীজ ও কলম দুটি থেকেই জন্ম নেয় বেদানা গাছ।

২০১৩ সালের প্রথম দিকে জাহাঙ্গীর আলম দিনাজপুর থেকে বেদানার চারা সংগ্রহ করে নাভারন কুলপালা গ্রামে ৬৬ শতাংশ জমিতে ২৭৭টি বেদানার চারা রোপণ করেন। প্রতিটি চারা ১২০ টাকা দরে কিনে আনেন। এখন বিশাল আকৃতির ঝাড়ে রূপান্তরিত হয়েছে বেদানা গাছ। ফুল ও ফল ধরেছে প্রচুর। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এ গাছের চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের দেড় থেকে দুই বছর পর বেদানার ফলন আসতে শুরু করে। ৬৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। বেদানা গাছ দেখতে সবুজ ও অনেকটা পাতাবাহার ফুল গাছের  মতো। তবে একটি গাছ ৬/৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। চলতি মৌসুমে প্রতিটি গাছের কাণ্ড থেকে বিপুল পরিমাণ বেদানার ফুল ও ফল ধরেছে। তিনি তার জমিতে দুই ধরনের জাতের বেদানার উৎপাদন শুরু করেছেন। এক ধরনের জাতের ফলন হালকা সবুজ আর এক ধরনের জাতের ফলন হচ্ছে গাঢ় লাল।

Bedana

বাজারে দুই ধরনের বেদানা পাওয়া যায়। একটি ছোট ও অপরটি বড়। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বত্র লাল রঙের বেদানার কদর বেশি। গাছ থেকে বেদানা সংগ্রহ করে বর্তমানে বাজারে বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ২শ থেকে ২৫০ টাকা দরে। বাজারেও বেদানার কদর বেশি। বেদানা চাষের প্রসার বৃদ্ধি করতে এ বছর বেদানা গাছের দেড় হাজার গুটি কলম ২ লাখ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

বেদানা গাছ লাগানোর ২৫ মাস পর চলতি মৌসুমে ফলন ধরেছে। এ চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে গাছের চারা ও গুটি কলম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও বেদানা চাষ সম্ভব বলে জানালেন চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিরক কুমার জাগো নিউজকে জানান, এই উপজেলায় যে সকল কৃষক ফল চাষে এগিয়ে আসবে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যকভাবে এ সমস্ত ফল চাষ বৃদ্ধি করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।

মো. জামাল হোসেন/এমজেড/এমএস