ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঘরে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার ফরিদপুর গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই কিশোরী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীণ বড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্ত শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার ফরিদপুর গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিন মিয়ার ছেলে সামছুদ্দিন মিয়া (৪৫) ও তার দুলাভাই রহমত আলীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বড় ভাই শ্রীপুর থানায় রোববার মামলা করেছেন।

মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর বড় ভাই জানান, ২৮ অক্টোবর দুপুরে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের হাটপাড়া এলাকা থেকে একই ভালুকার সিডস্টোর এলাকায় তার (বড় ভাই) বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় ওই কিশোরী। পরে পথ ভুলে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় চলে যায় সে। এ সময় সামছুদ্দিন বোনকে আমার কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে শ্রীপুরের ফরিদপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।

পরে সামছুদ্দিন ও তার দুলাভাই রহমত আলীসহ কয়েকজনে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ৩১ অক্টোবর তার বোন রহমতের বাসায় রয়েছে বলে খবর পান তিনি। পুলিশের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

শ্রীপুর হাসপাতালে কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরে তার বোনের। তখন সে তার কাছে সবকিছু বলে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তার বোন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মেয়ের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে জড়িত শালা-দুলাভাইসহ অন্যদের  গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
                    
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি