সন্তানকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পুলিশ সদস্য বাবাও নিখোঁজ
ছয় মাস বয়সী শিশু পুত্রকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পুলিশ সদস্য বাবা মো. আবু মুসা রেজওয়ান। গতকাল শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা-শংকরপাশা ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে নৌভ্রমণে গিয়ে নির্মাণাধীন সেতুর পিলারে আঘাত লেগে ট্রলার থেকে শিশুটি পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপ দেন বাবা।
পুলিশ সদস্য মো. আবু মুসা রেজওয়ান নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাঁচই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথিন্দ্রনাথ রায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেজওয়ান ছুটিতে বাড়ি এসে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সাজিয়া ইসলাম (২৪), একমাত্র ৬ মাসের শিশু পুত্র আনাস, বোন রুনা খানম (২৫), ভগ্নিপতি মো. আল আমিন (২৭) ও বোনের মেয়ে রিমি খানমসহ (৫) মধুমতি নদীতে ঘুরতে যান।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানাধীন ভাটিয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদীতে ভ্রমণকালীন সময়ে ট্রলারটি কালনা ফেরিঘাট এলাকায় এলে নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট সেতুর একটি পিলারের সাথে ট্রলারটির আঘাত লাগলে ছয় মাসের শিশু পুত্র আনাস খরস্রোতা মধুমতি নদীতে পড়ে যায়।
এ সময় রেজওয়ান সন্তানকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপঁ দিলে নিখোঁজ হন। ট্রলারের চালক তাৎক্ষণিকভাবে ঝাঁপ দিয়ে কয়েকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাবা ও সন্তাকে উদ্ধার করতে পারেননি।
নিখোঁজের খবর শুনে কাশিয়ানী থানা পুলিশের ওসি মো. আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় লোকজন ও নৌ-বাহিনীর ডুবুরিদের সাহায্যে তাদেরকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
তিনি জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও ফায়ার সার্ভিস এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল এখনও পর্যন্ত তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
এমএএস/এমকেএইচ