ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ব্যবসা নেই

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ফার্নিচার ব্যবসার ওপরও। ব্যবসার মন্দাভাব না কাটায় এখন পুঁজি সংকটে ভুগছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা। লকডাউন পরিস্থিতি অনেটাই স্বাভাবিক হলেও ব্যবসা একেবারেই নেই দাবি ব্যবসায়ীদের। করোনাভাইরাসের কারণে ফার্নিচার ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির দেয়া তথ্যমতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। প্রতি মাসে একেকজন ব্যবসায়ী গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি করেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারি নির্দেশনায় গত ২৬ মার্চ থেকে সব দোকান বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনায় আড়াই মাস পর দোকান খোলা হয়। কিন্তু বন্ধের সময় দোকান ভাড়া ও কারখানার ভাড়া ঠিকই গুণতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সরকারি কোনো সহায়তাও পাননি তারা। এখন দোকান খুললেও আগের মতো ব্যবসা হচ্ছে না। এর ফলে ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কালাইশ্রী পাড়া এলাকার সমতা কাঠ ও ফার্নিচারের সত্ত্বাধিকারী শিহাব উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাসের আগে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হতো তার দোকানে। এখন মাসে ২০ হাজার টাকার ফার্নিচারও বিক্রি করতে পারছেন না। প্রবাসীরা সমস্যায় থাকায় বেচাবিক্রি কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে দোকানে মালামাল পড়ে আছে। চলতি আগস্ট মাসে এক টাকার মালও বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

b.baria

রুমি ফার্নিচার গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী মজিবুর হক রুমি জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে তার দোকানে কয়েক লাখ টাকার অর্ডার ছিল। কিন্তু করোনারা কারণে এখন সেই অর্ডারের মালামাল নিচ্ছেন না অর্ডারকারীরা। এখন মাসে এক লাখ টাকার ফার্নিচারও বিক্রি করতে পারছেন না। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগের মতো ব্যবসা নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন দোকান খুললেও বেচাকেনা নেই। প্রবাসীরা সমস্যায় থাকায় আমাদের ব্যবসা ৫০ শতাংশ কমে গেছে। কারণ আমাদের ক্রেতাদের বড় অংশই প্রবাসী। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর ব্যবসার দূরাবস্থার কারণে ঋণও নিতে পারছি না।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/জেআইএম