১১০ টাকার ওষুধ ৩৫০, অভিযোগকারী পেলেন ৮৭৫০ টাকা
১১০ টাকার ওষুধ ৩৫০ টাকায় কিনে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করে পেলেন ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২৫ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগকারীর হাতে টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জনৈক পটুয়াখালী জজ কোর্টের আইনজীবী কিছুদিন আগে পরিবারের প্রয়োজনে ওষুধ কিনতে বাউফল হাসপাতালের সামনে মোল্লা মেডিকেল হলে গিয়ে তার প্রয়োজনীয় ওষুধটি চান এবং দোকানদার মূল্য ৩শ ৫০ টাকা চায়। কিন্তু অ্যাড. নামের ওই ভোক্তা ওষুধটির দাম জানেন ১শ’ ১০ টাকা এবং সে ওষুধের গায়ে লেখা ১শ’ ১০ টাকা দামেই এর আগে অন্যস্থান থেকে কিনেছিলেন।
কিন্তু মোল্লা মেডিকেল হলের ওই ওষুধে ‘এমআর’ এর স্থান ছেড়া ছিল। এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে তর্কাতর্কি এমনকি হাতাহাতিও হয়। এক পর্যায়ে অভিযোগকারী জরুরি প্রয়োজনে ওষুধটি ৩শ’ ৫০ টাকা দাম দিয়েই কিনে আনতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে অভিযোগকারী তথ্য প্রমাণাদিসহ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের লিখিত অভিযোগ করেন।
বাউফল এলাকার বাসিন্দা আবদুল মতিন মিয়া বলেন, মোল্লা মেডিকেল হলের মালিক রিয়াজ সব সময় ওষুধের দাম বেশি রাখেন। তার দোকানে ওষুধের দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে সে ক্ষমতা দেখায়। আজ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিচারক যে জরিমানা করেছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। উপজেলাবাসী অনেক খুশি।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ওপর উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানিতে বিবাদী পক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে বিবাদী ওষুধের দোকানের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪০ মোতাবেক ৩৫,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়’।
আইন মোতাবেক অভিযোগকারী জরিমানার ২৫ শতাংশ হারে ৮,৭৫০ টাকা প্রাপ্য। পরে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগকারীর হাতে ওই টাকা তুলে দেন এবং সকল কাজ তত্ত্বাবধান করেন জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে এ ধরনের অপরাধ হলে প্রমাণাদিসহ অভিযোগ করুন এবং জরিমানার ২৫ শতাংশ বুঝে নিন।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমআরএম