ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাতের আঁধারে আরও একটি স্কুল গিলে খেল পদ্মা

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২০

রাতের আঁধারে পদ্মা নদীর গ্রাসে শিবচরের চরাঞ্চলের আরও একটি দ্বিতল স্কুল ভবন নদীতে বিলীন হয়েছে। বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজীরসুরা ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারটি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিক নদীগর্ভে বিলীন হয়। পাশেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ও কাজীরসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি বন্যা ও নদীভাঙনে শিবচরের চরাঞ্চলের ৪টি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়েছে।

চলতি বছরের বন্যায় চরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবন, চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক স্থাপনা ও ইউনিয়ন পরিষদ, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭ নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের ৩তলা ভবনটি বিলীন হয়।

Madaripur-2

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে পদ্মার পানি কমলেও গত ৩ দিন ধরে আবারও পানি বাড়ছে। এতে করে শিবচরের পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে আবারও নদীভাঙন বেড়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং চালাচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিক ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে কাজীরসুরা ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারটি পদ্মায় বিলীন হয়। স্কুলটিতে বর্তমানে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হওয়ায় স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তবে ভাঙন কাছাকাছি চলে আসায় ২ সপ্তাহ আগে বন্যার্তদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় পাশেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ও কুজারসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি বন্যা ও নদীভাঙনে শিবচরের চরাঞ্চলের ৪টি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

Madaripur-2

২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে স্কুল ভবনটি নদীতে বিলীন হয়েছে। বিকেলেও ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও স্কুলটি ছিল। এর ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হবে। বন্যার সময় বিদ্যালয়টিকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছে প্রশাসন।

নাসিরুল হক/এফএ/জেআইএম