ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের হাতে ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

চট্টগ্রামে প্রাক প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময় ছাত্রলীগের হাতে ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষক লাঞ্ছতি হয়েছেন। শুক্রবার নগরীর সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে বাধা দেয়ায় নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী ও তার কর্মীরা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষকদেরকে লাঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে শিক্ষক নোমান চৌধুরীর মোবাইল ফোনটি জব্দ করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেন।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে র্যাব এবং পুলিশের প্রহরায় উত্তরপত্রগুলো নিয়ে জেলা প্রশাসক ট্রেজারিতে চলে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জিল্লু এবং নোমান নামে দু’জন ছাত্রলীগ নেতা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট এবং শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে।  তাদের সঙ্গে আরো ২৫ থেকে ৩০ জন ছিল।

তিনি আরো জানান, নোমানের মোবাইল ফোন জব্দ করে সদরঘাট থানার ওসি’র কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী এবং কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন।

মূল গেইটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ওই নেতাকে কলেজের ছাত্র হিসেবে ঢুকতে দিলেও অছাত্র হওয়ায় নোমানকে বাধা দেন।  এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নোমান পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ধাক্কা দিয়ে কলেজের ভেতরে ঢুকে যান ।

কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে নোমান সিটি কলেজের দক্ষিণ ভবনের নিচতলায় হলরুমে চলে যান।  সেখানে পরীক্ষা চলছিল।  নোমান সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে শিক্ষকরা বাধা দেন।  এসময় নোমান তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এসময় ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এসে বাধা দিলে তার সঙ্গেও অশোভন আচরণ করে নোমান ও তার সহযোগীরা। পরে নোমান একজন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র টেনে নিয়ে ছবি তুলতে শুরু করেন।  শিক্ষকরা গিয়ে তার মোবাইল সেটটি কেড়ে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেন।

এ ব্যাপারে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রাশেদ চৌধুরী বলেন, প্রতি শুক্রবার আমি সিটি কলেজের মসজিদে নামাজ পড়ি।  আমি নামাজ পড়ার জন্য ঢুকেছিলাম।  মসজিদের সামনে থেকে হট্টগোল শুনে হলরুমের দিকে যাই এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যা করা দরকার তা করেছি।

এসকেডি/এমএম