নীলফামারীতে বাল্যবিয়ের অপরাধে ৩ জনের জেল
বরযাত্রী এসে খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির। তারা সেখানে হাজির হয়েছেন বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেতে নয় বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে। বৃহস্পতিরার রাতে ঘটনাটি ঘটে ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামে।
রাতে ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী শিল্পি আক্তারের (১৫) বাল্যবিয়ের সংবাদে অভিযান চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর, বরের বাবা ও কনের বাবাকে আটক করে নিয়ে আসে।
আটকরা হলেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের বিশা ভুইয়ার ছেলে বর লেবু ইসলাম (২২), মৃত আশান ভুইয়ার ছেলে (বরের বাবা) বিশা ভুইয়া ও ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে কনের বাবা আযম আলী (৫০)।
অপরদিকে, ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে রুমা আক্তারের বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির সংবাদ টের পেয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। পুলিশ বিবাহের প্যান্ডেলসহ যাবতীয় জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়।
এসময় ছাত্রীটির দাদা নমির উদ্দিনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাতে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র রায় ভ্র্যাম্যমাণ আদালতে আটক তিনজনকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র রায় জাগো নিউজকে জানান, ভবিষ্যতে বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না এমন প্রতিশ্রুতি ও বরের বয়স ঠিক থাকায় ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অপর ঘটনায় বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়া হয়েছে।
ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহুল আমিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, বাল্যবিবাহের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের শুক্রবার সকালে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জাহেদুল ইসলাম জাহিদ/এমজেড/আরআইপি