ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিশু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গৃহীত

প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দাখিলকৃত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম শাহেদুল করিমের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আগামি ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন হাকিম আদালত। এর আগে মামলার নথি জজ কোর্টে থাকায় মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে শুনানির ৭ ও ১৮ অক্টোবর দুই দফা পেছানো হয়।

মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের এপিপি ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান জাগো নিউজকে জানান, দাখিলকৃত মামলার চার্জশিট গ্রহণ নিয়ে শুনানি উপলক্ষ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক মামলার আসামি এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, পুলিশ ও র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিবকে আদালতে তোলা হয়।

তিনি আরও জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত চার্জশিট গ্রহণ নিয়ে শুনানি শেষে আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, পুলিশ ও র্যাবের কতিথ সোর্স আতাউর রহমান গেদা, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিদ হোসেন মাসুমকে অভিযুক্ত করে মুখ্য হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসাইন।

এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মাসুম পলাতক রয়েছেন। বাকি তিন ঘাতক কারাগারে আটক আছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এবাদুর, রাকিব, গেদা মিয়া ও মাসুদ মিলে শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ করেন। পরের দিন ১২ মার্চ কনস্টেবল ঝর্ণারপাড়স্থ এবাদুরের বাসায় শিশুটিকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেন ঘাতকরা। পরে এবাদুরের ভাড়া বাসার ছাদের একটি চিলেকোঠায় মরদেহ টুকরো করে সাতটি পলিথিনের বস্তায় গুম করে রাখা হয়।

শিশুটিকে হত্যার পর ঘাতকরা সাঈদের বাবা ও মামা জয়নাল আবেদীনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে ১৪ মার্চ রাত ১০টায় কনস্টেবল এবাদুরের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাতটি বস্তায় মোড়ানো আবু সাঈদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে হত্যার আলামত সংগ্রহের পর রাত দেড়টার দিকে মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর, নুরুল ইসলাম রাকিব, সোর্স আতাউর রহমান গেদাকে। এই তিনজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। শিশু হত্যার এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সিলেটের মানুষ। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামে।

ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস