পর্যটনকেন্দ্র রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু খুলে দেয়া হয়েছে
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ ঘোষণা করা হয় পর্যটনকেন্দ্র রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। গত ১৮ মার্চ বন্ধ হওয়ার পর সোমবার (৩ আগস্ট) এটি খুলে দেয়া হয়েছে। জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য এই কেন্দ্রটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চালু করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত ১৮ মার্চ বন্ধ করা হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্র। সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কারণ ইতোমধ্যেই কক্সবাজার-চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গায় পর্যটনকেন্দ্র চালু হয়েছে। গত চার মাসে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের।
এক প্রশ্নের জবাবে সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, এখন ঠিক কী পরিমাণ পর্যটক আসবে অথবা আদৌ আসবে কিনা সেটা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিনের পরিস্থিতিতে।
তবে মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আমার কাছে এসেছিলেন। আমি বলেছি, আপনারা যদি মনে করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাবেন, তবে চালাতে পারেন। সেই মোতাবেক তারা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি, কেউ যেন মাস্ক ছাড়া সেখানে না যায় এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটি শহরের একেবারেই শেষপ্রান্তে অবস্থিত দেশের প্রধান সরকারি পর্যটন সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত পর্যটনকেন্দ্রটি। ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদে নৌভ্রমণের জন্য অসংখ্য বোট ছাড়াও রয়েছে একাধিক মোটেল ও কটেজ। রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের প্রধান গন্তব্যই তাই এই কেন্দ্রটি।
মো. সাইফুল/বিএ/পিআর