ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুখর কুয়াকাটা সৈকত, সোমালিয়া থেকে এসেছে পর্যটক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ১০:২২ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসের ভয়কে জয় করে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের লক্ষ্য করা গেছে। হাজারো পর্যটকের ভিড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ঈদে কুয়াকাটার বিশেষ আর্কষণ সোমালিয়া থেকে আগত পাঁচ পর্যটক। করোনার ভয়কে জয় করে কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসেছেন তারা।

সৈকতে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে-গেয়ে সমুদ্রে গোসল করেছেন। সৈকতে খেলাধুলা করেছেন তারা। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনসহ সৈকতে বাইক নিয়ে ঘুরেছেন তারা।

এছাড়া কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাঁতপল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের দেখা গেছে।

Kuakata-Torist-2

সোমালিয়া পর্যটক

আগত পর্যটকরা জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এই ঈদে। এখানকার সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেখানে বার বার আসতে ইচ্ছে করে।

পর্যটক রফিক ও আয়েশা দম্পতি জানান, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষজন তাদের খুবই ভালো লেগেছে। কুয়াকাটার প্রেমে পড়ে গেছেন তারা। তাই বারবার কুয়াকাটা আসেন।

রফিক বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। দিনে দিনে পর্যটন নগরী হিসেবে কুয়াকাটার পরিচিতি বাড়ছে। বাড়ছে এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও নদীপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাড়ছে কুয়াকাটা পর্যটনের সক্ষমতা।

Kuakata-Torist-2

এ বছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। গত ১ জুলাই পর্যটনমুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর ঈদে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ঈদের প্রথম দিন থেকে কুয়াকাটায় শত শত পর্যটক আসতে থাকে। আবাসিক হোটেলগুলো কম বেশি বুকিং হয়েছে। তবে আবাসিক হোটেল শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাস, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড, হোটেল গ্রেভার ইন, হোটেল সি ক্রাউন ইনসহ প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটনমুখী ব্যবসা বন্ধ থাকার পর এই প্রথম উল্লেখযোগ্য পর্যটক এসেছেন। অনেক পর্যটক অগ্রিম হোটেল বুকিং দিয়েছেন। এভাবে পর্যটকদের আসা অব্যাহত থাকলে আমাদের মন্দা কেটে যাবে। কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনার ভয় নেই।

এএম/পিআর