ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট নেই

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০

ঈদে বাড়িফেরা মানুষের দুর্ভোগের রুট হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলো। এবার ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও নেই কোনো যানজট।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়, ঢাকা-বগুড়া, নগরবাড়ী-বগুড়া ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে নলকা মোড় পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি ছিল।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকা-বগুড়া-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এখন পর্যন্ত যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। গত কয়েক বছর ঈদযাত্রায় যানজটের কারণে সড়কেই ছয়-সাত ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় আটকে থাকার ঘটনাও ঘটেছে। এ বছর তার উল্টো। করোনা ও বন্যার কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে ঢাকাতেই ঈদ করবেন। এ জন্য উত্তরাঞ্চলের পথে গত বছরগুলোর তুলনায় যানবাহন কম চলাচল করছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি ঈদেই মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকে। বাসের যাত্রীরা হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে। এ বছর এই মহাসড়কের চিত্র দেখে আমরা অবাক হয়েছি।

SIRAJGONJ

কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল এলাকার অটোরিকশা চালক আহমেদ ও কাজিপুর উপজেলার সীমান্তবাজার এলাকার ফিরোজ হোসেন বলেন, যানজট হলে শুধু গাড়িতে আসা যাত্রী নয়, এলাকার মানুষেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এখন আমাদের ভালো লাগছে। যাত্রীদের ভোগান্তি নেই।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মিলাদুল হুদা বলেন, জেলার মহাসড়কগুলো এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো যানজট বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গাড়ির কিছুটা চাপ রয়েছে।

মহাসড়কে দায়িত্বরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, গাড়ির চাপ অন্য ঈদের মতোই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে ৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ বেড়েছে।

মহাসড়কগুলোতে যানজট নেই প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজটের মূল কারণ ছোটখাটো দুর্ঘটনা ও বেপরোয়া ওভারটেকিং যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতি এক কিলোমিটার পরপর একটি করে মোবাইল টিম রয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক উদ্ধাকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলার ১০২ কিলোমিটার মহাসড়কে তিন শিফটে ২৫০ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। ১৮টি পেট্রোল টিম, ছয়টি গাড়ি ও ১৩টি মোটরসাইকেল টিম এবং তিনটি তদারকি টিম প্রতি শিফটে মহাসড়কেই অবস্থান করছেন।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/বিএ/এমএস