ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ওসির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়, চৌকিদারসহ আটক ৩

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০২:২৮ এএম, ৩০ জুলাই ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চৌকিদারসহ ৩ জনকে আটক করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। ২৮ জুলাই রাতে থানা পুলিশের একটি দল তাদেরকে আটক করে বলে জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

আটকরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পাড়ার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে ফরিদ আলম (৩২), মৃত হামিদ আলীর ছেলে আব্দু শুক্কুর (৪৭) এবং আলী হোছনের ছেলে চৌকিদার মো. আলম (৩৩)।

পুলিশ জানায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু চক্র ওসির নাম ভাঙিয়ে অপরাধী ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজন অসাধু চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।

পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ওসির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করেন। চাঁদা না দিলে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এমন ভয় দেখিয়ে কারও কাছ থেকে পাঁচ হাজার, আবার কারও কাছ থেকে দশ হাজার এবং সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছেন অসাধু এই তিনজনেই।

প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিনজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে সাহস না পাই। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফ থেকে মাদক নির্মূল করতে স্থানীয় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি যারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি করবে তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য অনুরোধ করছি।

ওসি আরও বলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালির বাসিন্দা মাইক্রোবাসচালক নুরুল আমিনের কাছ থেকে উকিল পরিচয়ে হেলাল উদ্দীন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হেলাল উদ্দীন একই ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালীর বাসিন্দা মৃত গফুর মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল আমিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম। তার স্বামী নুরুল আমিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ক্রসফায়ার দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হেলাল উদ্দীন চাঁদা আদায় করা হয় বলে ছালেহা অভিযোগে উল্লেখ করেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি প্রদীপ।

সায়ীদ আলমগীর/এমআরএম