ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চৌদ্দগ্রামে চোরাই তেল সংগ্রহের সময়ই ঘটেছিল অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অনুমোদনহীন একটি অবৈধ তেলের ডিপোতে গাড়ি থেকে তেল চুরির সময়ই মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য।

এদিকে ওই অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয়কারীদের ধরতে থানা পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ হোসেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘির পাড়, চিওড়া রাস্তার মাথা, বাতিশা, আমানগণ্ডা, হাড়িসর্দার, বাঁকা বটগাছ, ধনুসাড়া রাস্তার মাথাসহ মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে মালিকের অগোচরে তেলবাহী গাড়ি থেকে চোরাই পথে তেল নামিয়ে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে অকটেন ও পেট্রলবাহী একটি গাড়ি চট্টগ্রাম থেকে চৌদ্দগ্রামের হাড়িসর্দার বাজারের চোরাই তেলের ব্যবসায়ী আবদুল কাদেরের দোকানের সামনে পৌঁছে। রাতে চালকের যোগসাজশে কাদের তার সিন্ডিকেড সদস্য আবু বকর ও ইউসুফকে নিয়ে ওই গাড়ি থেকে পেট্রল ও অকটেন নামিয়ে ড্রাম ভর্তি করার সময় জ্বলন্ত সিগারেট থেকে আগুন ধরে যায়।

hauddagram-fire
মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই তেলবাহী গাড়ি, চুরির তেল বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য ওই দোকানের সামনে রাখা পিকআপ, ২টি দোকানঘর ও বিপুল পরিমাণ তেল ও তেলভর্তি ড্রাম পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কুমিল্লা ও চৌদ্দগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এসময় তেল চোর সিন্ডিকেড সদস্যরা, তেলবাহী গাড়ির চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। আগুনে প্রায় ৫০/৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ল‏ক্ষ্মীপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে আশিক (২০) ও ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কামাল ড্রাইভারের ছেলে পিয়াস (১৩), পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার তপবন গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে জাকির (২৮) ও মদনপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবুসহ (১৯) চারজন আহত হয়েছেন।
 
এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ জাগো নিউজকে জানান, তেলবাহী গাড়ি থেকে তেল চুরি করে অবৈধভাবে বিক্রি ও মজুদদারদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবময় দেওয়ান জাগো নিউজকে জানান, তেলের ডিপোর অনুমোদন ডিসি অফিস থেকে দেয়া হয়। তবে যেখানে আগুন লেগেছে এর অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/আরআইপি

আরও পড়ুন