ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কামারপল্লীর রূপ পাল্টে দিয়েছে করোনা

জেলা প্রতিনিধি | চাঁদপুর | প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২০

আর ৩ দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। কিন্তু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারপল্লীগুলোতে চিরাচরিত সেই হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দ এখন নেই। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এবার অনেকেরই পশু কোরবানি দেয়ার সামর্থ নেই। ফলে ব্যস্ততাও নেই চাঁদপুরের কামার শিল্পীদের মাঝে। এ বছর ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

চাঁদপুরে প্রায় ৭শ দোকানে ৪ সহস্রাধিক কামার রয়েছেন। শহরের তালতলা, নতুনবাজার, বাসস্টেশন এলাকা, পুরানবাজার ও বাবুরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে এসব কামার শিল্পীরা ছুরি, বটি, দা, চাপাতিসহ ধারালো নানা জিনিস বানাতে কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই কামার শিল্পীদের কাছ থেকে এসব জিনিস ক্রয় করতেন। আবার কেউ কেউ ঘরে থাকা পুরনো দা, ছুরি ধার করার জন্য আসতেন। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দোকানে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম। প্রতিবছর কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা বেশি হলেও এ বছর মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দোকানে ক্রেতা তেমন একটা আসছে না।

kamar

চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকার কামার বিনয় কর্মকার ও গোপাল কর্মকার বলেন, সারা বছর আমরা দা, ছুরি তৈরি করলেও কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি। এই সময়টাতেই আমাদের সবচেয়ে বেশি বেচা কেনা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতাদের সংখ্যা অনেক কম। তারপরও আশা করি ঈদের আগের দিন হয়ত ক্রেতা আসবে।

তারা জানান, বর্তমানে কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রের মধ্যে প্রতি পিস বটি প্রকারভেদে ৩শ-৮শ, দা সাড়ে ৩শ-৮শ, বড় আকৃতির ছুরি ৪শ-১ হাজার, ছোট আকৃতির ছুরি ৫০-২শ এবং চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭শ-১২শ টাকায়।

kamar

দোকানে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আর ৩ দিন পর ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকে কোরবানি দেয়ার জন্য ছুরি, দা কিনতে এসেছি। পাশাপাশি পুরনোগুলোও সান দেয়ার জন্য নিয়ে এলাম। অন্যান্য সময়ের তুলনায় দা, ছুরির দাম অনেক বেশি রাখছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চাঁদপুর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, চাঁদপুরের আট উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জে সবচেয়ে বেশি কামারশালা রয়েছে। সেখানে কামার পল্লীতে শত শত কামার কাজ করছেন। আগে অনেকেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প থেকে ঋণ নিয়েছেন। কেউ ঋণ নিতে চাইলে আমরা তাদের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করব। আমরা চাই এ শিল্প যেন কখনও হারিয়ে না যায়।

ইকরাম চৌধুরী/এফএ/জেআইএম