ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কিবরিয়া হত্যা মামলা : আসামির অনুপস্থিতিতে পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

এবার আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে বহুল আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হলো। আগামি বৃহস্পতিবারও এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে। বুধবার মামলার সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দুজন সাক্ষী হাজির ছিলেন। তবে আসামি অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষগ্রহণ সম্ভব হয়নি।

এর আগে আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে নয় দফা পিছিয়েছিল চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন। অবশেষে অভিযোগ গঠন করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী সাংসদ আবদুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ২১ অক্টোবর আরও তিনজন সাক্ষ্য দেন।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, বুধবার কিবরিয়া হত্যা মামলায় আবদুর রউফ ও এরফান আলী নামের দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল।

বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ওই মামলার আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউছ ও চার জঙ্গিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে অনুপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবার, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আবদুল হান্নান ও সাবেক সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বাকী আসামিরা।

আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় বিভাগীয় দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণ না করে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে ওই মামলায় মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান এবং আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ূম ও ঈমান আলী সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থনীতি মন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।

গ্রেনেড হামলার রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে ওই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি