সংস্কৃতিমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা : ৬০ বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিএনপির ৬০ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নীলফামারীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে তারা জামিন চায়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফ আলী, লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, টুপামারী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ ৬২ জন নেতাকর্মী। আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপক্তা ব্যবস্থা।
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান জামান সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির ৬২আসামির মধ্যে অধিকাংশই বৃদ্ধ। এদের মধ্যে ১৫৯ নম্বর ও ১৬৬ নম্বর আসামি যথক্রমে সিদ্দিক মোল্লা (৯০) ও আজিজ পাইকার (৮০) দুইজনই পঙ্গু। তারা গত তিন বছর ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে হাঁটা চলা করতে পারে না। এই মামলার তদন্তে পুলিশ এদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। জামিন চাইতে এসে এই পঙ্গু দুই বৃদ্ধকেও কারাগারে যেতে হলো।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জহাটে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতারকর্মী। ওই ঘটনায় কৃষক লীগ নেতা খুরশেদ আলম, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ কর্মী লেবু মিয়া ও পথচারী সিদ্দিক গাজীসহ ৫জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় ২১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। আদালতে ২৭৬/১৩ জিআর মামলায় পুলিশ ৬০ জামায়াত শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করে এবং ৫৯ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী আদালতের মাধ্যমে আত্মসর্মপণ করে কারাগারে যায়। বাকী ৯৮ জন পলাতক ছিল। এদের মধ্যে বুধবার ৬২ জন বিএনপি দলীয় আসামি আদালতে আত্মসর্মপণ করায় আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জাহেদুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি