ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ১২:২৯ এএম, ২৬ জুলাই ২০২০

রাজশাহী নগরীতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক চিকিসক। শনিবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর কোর্ট এলাকার ধর্ষণের শিকার নারীর বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার চিকিৎসক হলেন সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নগরীর টিকপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

ভুক্তভোগী নারী (২৭) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। বান্ধবীর সাথে কোর্ট এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি। রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন ওই নারী।

এ ঘটনায় রাত আটটার দিকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন ওই নারী। রোববার সকালে ওই চিকিৎসককে আদালতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন চিকিৎসক। ওই নারীর অভিযোগ বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে ওই চিকিৎসক শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। গোপনে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে পরে তাকে জিম্মি করেন। প্রায় ১৭ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই নারী। কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ওই চিকিৎসকের সাথে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।

এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন চিকিৎসক। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তার ওপর নির্যাতন চালান।

শনিবার সকালে চিকিৎসক রানা ভাড়া বাসায় গিয়ে ওই নারীর সাথে আবারও শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চান। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে তার বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন।

তার আগেই ঘটনা টের পেয়ে ওই চিকৎসককে আটকে রাখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি শাহাদাত হোসেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম