পানির নিচে জামালপুর
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে জেলার সাত উপজেলার আট পৌরসভা ও ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৬০টি ইউনিয়নের ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বলা চলে পানির নিচে জামালপুর। বন্যায় তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে রয়েছেন বানভাসিরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি তৃতীয়বারের মতো বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, সুবর্ণখালী, জিঞ্জিরাম, দশআনীসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সাত উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি পানিতে ডুবে আছে গ্রামীণ হাট-বাজার দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ১১ হাজার হেক্টর বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, গো চারণ ভূমি ও বসতবাড়ি। বন্যায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সঙ্কট।
এরই মধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলার শুয়াকৈর এলাকায় ২০০ মিটার সেতু ও সড়ক বাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে ২০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের মানুষ। নিম্নাঞ্চল থেকে লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে চরমে পৌঁছেছে মানুষের ভোগান্তি। আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কসহ রেললাইন পানিতে ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ত্রাণের জন্য এখন হাহাকার বন্যাদুর্গত এলাকায়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী বলেন, বন্যাকবলিতদের জন্য নতুন করে ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানিতে ডুবে গেছে চার হাজার ৬০০টি নলকূপ ও সাড়ে পাঁচ হাজার ল্যাট্রিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এএম/এমকেএইচ