ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজবাড়ীতে ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি, তলিয়ে গেছে ফসল

জেলা প্রতিনিধি | রাজবাড়ী | প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২২ জুলাই ২০২০

বন্যায় রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও গোয়ালন্দ উপজেলার প্রায় ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তলিয়ে গেছে এক হাজার ৩৯২ হেক্টর জমির ফসল। এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় ত্রাণ পাচ্ছেন না বানভাসিরা।

রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি কমেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার, মহেন্দপুরে ১ সেন্টিমিটার কমে ২৯ সেন্টিমিটার ও সেনগ্রাম পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমে ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দিরা বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা ও খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

jagonews24

সরকারি হিসেবে, বন্যায় জেলায় প্রায় ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোয়ালন্দে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলায় এক হাজার ২০০ ও পাংশা উপজেলায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

বন্যকবলিতরা জানান, একদিকে বন্যা অন্যদিকে করোনা। ফসল যা ছিল তাও তলিয়ে গেছে। এখন বাড়িঘরে পানি ওঠায় রাস্তায় গিয়ে থাকছেন। তারা সামান্য সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও জানান।

অন্যদিকে দুই দফায় বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত জেলার এক হাজার ৩৯২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস।

jagonews24

তিনি জানান, বন্যার পানিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৯২ হেক্টর জমির বোনা আউশ, রোপা আউশ, পাট, তিল, সবজি, বীজতলা, মরিচ, আখসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে বীজতলা করে দেয়া হবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, রাজবাড়ীতে বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বন্যাকবলিতদের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন জিআর চাল, নগদ এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, এক হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার, দুই লাখ ব্যাগ শিশু খাদ্য ও দুই লাখ ব্যাগ গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হবে।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/এমকেএইচ