ভারতে গণপিটুনিতে নিহত তিনজনের দুইজন মৌলভীবাজারের রিকশাচালক
ভারতের করিমগঞ্জে গণপিটুতে নিহত তিন বাংলাদেশির দুইজনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়। তারা হলেন- উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে নুনু মিয়া (২৮) এবং একই গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে জুয়েল আহমদ (২৭)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তারা অটোরিকশাচালক।
উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস সোমবার (২০ জুলাই) বিকেলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের বাড়ি তালিমপুর ইউপির কাঞ্চনপুর এলাকায়। আমি তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা দুইজন গত শুক্রবার জুড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে জুড়ী থানা পুলিশ আমাকে জানায় যে তারা ভারতে খুন হয়েছেন। পরে নিহতদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হই; তাদের বাড়ি তালিমপুর ইউনিয়নে।
নিহত জুয়েল মিয়ার বড় ভাই রুবেল মিয়া বলেন, গত শুক্রবার এক ব্যক্তি তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে জানতে পেরেছি তারা ভারতে গিয়ে খুন হয়েছেন। তবে তারা কেন আর কি কারণে ভারতে গেলেন সে ব্যাপারে কিছুই জানি না আমরা।
৫২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ভারতে নিহত হওয়া দুই বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি বড়লেখায় বলে আমরা জানতে পেরেছি। নিহত হওয়া অপরজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, নিহত বাংলাদেশিরা শনিবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে করিমগঞ্জের পাথরকান্দি অঞ্চলে বগরিজান চা-বাগানে এলাকায় যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন গরুচোর সন্দেহে তাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর; এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ।
রিপন দে/এএম/পিআর