পর্যটক অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার আরাকান আর্মির
বাংলাদেশি তিন পর্যটককে অপহরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) বা আরাকান আর্মি। সোমবার মিয়ানমার টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে এএলপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দা স মায়া ইয়াজির লিন বলেন, এ অভিযোগ পার্টি ইমেজ নষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া এএলপির সদস্য ইউ খ্য অং সেন পিউ এর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আমরা অপহরণ করিনি। এছাড়া মুক্তিপণও চাওয়া হয়নি। তবে ১৫ ও ১৮ অক্টোবরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করেছেন এএলপি।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বান্দরবানের রুমার সেপ্রু পাড়ার কাছ থেকে অপহরণের শিকার হন ঢাকার মিরপুরের পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না ও আবদুল্লাহ আল জুবায়ের ও গাইড মাংসাই ম্রো। ৭ অক্টোবর অপহরণকারীরা নিজেদের আরকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) পরিচয় দিয়ে অর্ধকোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ করেন গাইডের বড় ভাই পাসিং ম্রো। পরে অপহৃত পর্যটকদের উদ্ধারে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
১৮ অক্টোবর রুমা সীমান্তে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সেনাক্যাম্পে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ মেসন ম্রো। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সেনা সদস্য কাশেম ও আনসারের সিপাহী হান্নান।
এছাড়া ১৮ অক্টোবর দুপুরে রুমার দুর্গম সে প্রু পাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে এক সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। ওই সন্ত্রাসীকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৈকত দাশ/এআরএ/এমএস